পৃথিবীর কোন রাস্তায় এক রকম না। যদি কখনও আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনেস আয়ার্স এর লা বোকা (La Boca) পার্শ্বস্থিত কামিনিতো (Caminito) তে যাওয়া পরে, তবে এর বর্ণিল রূপ পর্যটকদের মোহিত করবে; আর, তারা হয়তো ফিরে যাবেন ১৮শ’ শতকের সেই সময়টাতে যখন ইউরোপীয় ধাঁচের এই স্থাপনাগুলো গড়ে উঠছিল। কোন স্থানের রাস্তা-ঘাট হয়তো ইতিহাসের কোন কিছু স্মরণ করে দেয় না, এটা তাদের কাজও নয়; সেগুলোর প্রয়োজন নাই রঙ-চঙে ঢঙে তৈরী হওয়ার। কিন্তু, এদের মধ্যে কিছু আছে যাদের রয়েছে বর্ণিল, চোখ ধাঁধানো, আলোকোজ্জ্বল উপস্থিতি, যেমন: জার্মানীর বনের ফুলেল টানেল, বসন্তের কয়েক সপ্তাহের জন্য যার চেহারা একেবারে পরিবর্তিত হয়ে যায়।
এই লেখায় পাঠকদের জন্য পৃথিবীর ২১টি সবচেয়ে সুন্দর রাস্তা নিয়ে একটি সংকলন তৈরী করা হয়েছে, আশা করি পাঠকগণ এটি পরে আনন্দ পাবেন।
এই লেখাটি কেমন লেগেছে, কোথায় কোন ত্রুটি আছে কি না, তা আমাদের ফেসবুক পেজে লিখে জানালে, আমরা আপনাদের আরও কোয়ালিটি লেখা উপহার দেয়ার চেষ্টা করব।
কোলমার, ফ্রান্স (Colmar, France)

এটি ফ্রান্সের কোলমার শহরে অবস্থিত। জার্মানীর বর্ডারের কাছাকাছি এই শহরটি ইউরোপের সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর জায়গার একটি। কিন্তু, এই শহরের সবচেয়ে মনোহর চেহারা দেখতে হলে আপনাকে এর পুরাতন শহরের অলিগলির অন্দরে ঢুঁ মারতে হবে।
কালের পরিক্রমায় শহরের আল্টেসিয়ান ধাঁচের রঙ-বেরঙের কাঠের তৈরী স্থাপনার স্থাপত্য ধারায় কোন পরিবর্তন আসে নাই।
সেংডু, চীন (Chengdu, China)

এখন যে রাস্তাটির কথা বলব, তা চীনের সেংডু রাজ্যে অবস্থিত; নাম তার জিনলি স্ট্রিট। রাস্তাটি সারা বছরই একই রকম অপরূপ সাজে সজ্জিত থাকে। চীনের নববর্ষের এর আলোকোজ্জ্বল রূপ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠে। আর এই পর্যটকদের জন্য রাস্তাটি দেখার এটাই সবচেয়ে মাহেন্দ্রক্ষণ।
এ সময় স্থানীয়রা রাস্তা দু’ধারে বিভিন্ন ধরনের ডেকোরেটিভ মোটিফ আর আলোকসজ্জা করে থাকে।
সান মিগুয়েল দ্য অ্যালেনদি, মেক্সিকো (San Miguel De Allende, Mexico)

যদি কোন ভ্রমণকারী মেক্সিকো শহরের কেন্দ্রীয় অংশের দিকে যেতে থাকেন, তবে আলদামা রাস্তায় দিয়ে এর সৌন্দর্য্য দেখবেন না, তাই কি হয়! এটি একটি ঐতিহাসিক রাস্তা যা অত্যন্ত বর্ণিল। এই রাস্তাটি মেক্সিকো শহরের সান মিগুয়েল দ্য অ্যালেনদি নামক স্থানে অবস্থিত, যা মেক্সিকো শহর থেকে উত্তর দিকে ১৭০ মাইল দূরে অবস্থিত।
আর, ভ্রমণ বিষয়ক পত্রিকা Travel + Leisure এর ভোটের জরিপে দেখা গেছে, সান মিগুয়েল দ্য অ্যালেনদি শহরটি “২০১৩ সালে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট শহর”।
বুদাপেস্ট, হাঙ্গেরী (Budapest, Hungary)

হাঙ্গেরীর রাজধানী বুদাপেষ্টের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দানুবি নদীর তীর ঘেষে গড়ে উঠা শহরের একটি রাস্তা, জিরিনি উটচা (Zrinyi Utca)। শুধুমাত্র পদব্রজীদের জন্য গড়ে উঠা এই সুন্দর রাস্তায় যেতে যেতে হাঙ্গেরীর বিখ্যাত সেন্ট স্টিফেনের ব্যাসিলিকার বৈচিত্রময় দৃশ্য দেখা যায়।
তেহরান, ইরান (Tehran, Iran)

ইরানের রাজধানীর তেহরানের উত্তরে অবস্থিত রাজকীয় পর্বতমালা আলবোর্জ উঁকি দেয় শহরে রাস্তার দু’ধারের অট্টালিকা মাঝে দিয়ে, আর দিগন্ত রেখা নীচের দিকে দেখা যাবে তোহিদ টানেল। এই টানেলটি লম্বায় মধ্যপ্রাচ্যের সব টানেলগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। প্রায় ২ মাইল লম্বা।
এই টানেল থেকে পর্বতমালার দিকে মুখ করে দাঁড়ালে দৃশ্যপটে দেখা যাবে তেহরানের মিলাদ টাওয়ার ওরফে তেহরান টাওয়ার। ভূপৃষ্ঠ হতে ১,৪২৭ ফুট উঁচু এই টাওয়ারটি বিশ্বের উঁচু টাওয়ারগুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে, আর, এটিই ইরানের সর্বোচ্চ টাওয়ার।
ব্রুজেস, বেলজিয়াম (Bruges, Belgium)

আমস্টারডামের মত বেলজিয়ামের ব্রুজেসকে ডাকা হয় “ভেনিস অব দ্য নর্থ (Vanice of the North)” নামে। উপরের ছবিটি বলে দিচ্ছে, এই ঐতিহাসিক স্থানটি একটি দর্শনীয় স্থানই বটে!
কোবল পাথরের তৈরী এই রাস্তার সৌন্দর্য্যে মন আনন্দে উদ্বেলিত হয়। সেই সাথে রাস্তার ধারের খালে প্রাচীন ধাঁচের বাড়িগুলোর প্রতিবিম্ব পর্যটকদের মনে অন্য রকম ভাবের সৃষ্টি করে।
[adinserter block=”1″]
বুরানো, ইতালি (Burano, Italy)

ভেনিসের পার্শ্বস্থ সাগরের পাড়ে লেগুনের পানিতে ভেজা অনেকগুলো ছোট-বড় দ্বীপ রয়েছে। এই দ্বীপগুলোর খালের ধারে রাস্তাগুলো দেখলে ইতালিতে পানির উপরে গড়ে উঠা বিখ্যাত শহরের কথা মনে করিয়ে দেয়।
ভেনিসের বাইরে সম্ভবত: এই বুরানো শহরের রাস্তাগুলোর মত আর সুন্দর রাস্তা আর কোথাও নাই। কিন্তু, শুধু এই বিখ্যাত ক্যানালগুলোর জন্য পর্যটকগণ এখানে ঘুরতে আসেন না, এখানে রাস্তার বাঁকে বাঁকে চোখের সামনে ফুটে উঠা রঙ্গিন বাড়ি-ঘরগুলো পর্যটকদের বেশ আকর্ষণ করে।
কয়োটো, জাপান (Kyoto, Japan)

জাপানের কয়োটো শহরের ১.২ মাইল লম্বা একটি রাস্তা, তেতসুগাকু নো মিচি। এই রাস্তার পাশে বয়ে চলা খালের পাশ দিয়ে যত দূর চোখ যায় সমান্তরালভাবে চেরি গাছের সাড়ি লাইন ধরে চলে গেছে। জিনকাকু-জি টেম্পল ছাড়িয়েও অনেক দূর চলে গেছে। এই টেম্পলটি আবার ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের একটি।
বছরের মার্চ মাসে এই তেতসুগাকু নো মিচি ঘুরতে আসার সবচেয়ে ভাল সময়। এ সময় চেরি গাছের ফুলগুলো পূর্ণ যৌবনে ফুটে থাকে।
ইয়র্ক, ইংল্যান্ড (York, England)

ইংল্যান্ডের ইয়র্কের ‘স্যাম্বলস’ নামক রাস্তার দু’পাশের বাড়িঘর বা স্থাপত্যগুলো তৈরী হয়েছিল দূর অতীতে, সেই ১৪০০ শতাব্দীর দিকে। এর বাড়িঘরগুলোর কোনটা কাঠের গুড়ি দিয়ে তৈরী, যার মধ্যে কোন কোনটাকে আবার কোবল স্টোন দ্বারা তৈরী রাস্তার উপরে ঝুলিয়ে তৈরী করা হয়েছে।
করডোভা, স্পেন (Cordoba, Spain)

কলাজা দ্য লা ফ্লোরেস নাম সরু রাস্তাটি গিয়ে পড়েছে একটা প্লাজার মধ্যে। আর এটি খুঁজে পাবেন করডোভার আন্দালুসিয়া শহরে। অনেক ফুল দ্বারা সুসজ্জিত থাকে এর সাদা দেয়ালের দু’পাশে। ঠিক অস্বাভাবিক নয়, বরং এভাবে সাজানোই যে এখানকার প্রচলিত রীতি।
বুয়েনেস আয়ারস, আর্জেন্টিনা (Buenos Aires, Argentina)

আর্জেন্টিনার লা বোকা শহরের এই রাস্তার দু’ধারে দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন রঙে রঙ করা বাসা-বাড়ি, যা আপনাকে মনে করিয়ে দিবে ১৯ শতাব্দীর ইতিহাসকে।
যখন ইউরোপের প্রবাসীরা ইটালীর জেনোয়াতে চলে আসেন, তাদের অনেকে ডক ইয়ার্ডের বিভিন্ন পেশায় ঢুকে পড়েন, যাদের আয় তেমন ভালো ছিল না, তারা জাহাজের বেচে যাওয়া লোহার করোগেটেড শিট দিয়ে নিজেদের বাসস্থান বানিয়ে নিয়েছিলেন। আর, জাহাজের ব্যবহৃত রঙের অবশিষ্টাংশ দিয়ে এই বাড়ি-ঘরগুলো রঙ করে নিতেন।
একটা রঙ হঠাৎ করে শেষ হয়ে গেলে, তারা যেটা পাওয়া যায়, সেটা দিয়েই বাকিটা রঙ করে নিতেন। এই রাস্তার দু’ধারের বাড়ি-ঘরের এমন অদ্ভূত রঙের এটাই হল রহস্য।
ছবিতে কামিনিটো’র (Caminito) লা বোকা রাস্তার যে রঙ্গিন দৃশ্যটা দেখা যাচ্ছে তা বর্তমান সময়ের ছবি; ঐতিহাসিক সেই রঙ্গীন পরিবেশকে বাস্তবে ফিরিয়ে এনেছে স্থানীয় একজন আর্টিস্টের ক্যারিশমা।
সান ফ্রান্সিককো, ক্যালিফোর্নিয়া (San Francisco, California)

ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিককো শহরের এই রাস্তাটির নাম লোম্বার্ড। অসংখ্য পর্যটক এই রাস্তাটি দেখতে আসেন। প্রাইভেট গাড়ির স্থানীয় ড্রাইভারগণ সাপের মত আঁকা-বাঁকা রাস্তার মধ্যে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যান, এটাই পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় বিষয়। বেশ খাঁড়া ভাবে নেমে আসা এই রাস্তাটি ১৯২২ সালে তৈরী হয়। আর এটা এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে, যাতে ড্রাইভাররা এখানে গতি কমাতে বাধ্য হন। ড্রাইভারদেরকে বলা আছে, তারা যেন এখানে ৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি না চালান।
চেফচাউয়েন, মরক্কো (Chefchaouen, Morocco)

চেফচাউয়েন রাস্তাটি দেখতে হলে আপনাকে মরক্কোর উত্তর-পশ্চিমাংশে অবস্থিত একটি ছোট শহরে আসতে হবে। রাস্তার দু’ধারের বাড়ির দেয়ালে বিভিন্ন শেডের নীল রঙ এর জন্য বিখ্যাত এই রাস্তাটি।
স্পেন থেকে যারা পালিয়ে এসেছিলেন, তাদের জন্য ১৪৭১ সালে এই শহরটি দূর্গ হিসাবে তৈরী করা হয়। গত শতাব্দী ধরে চেফচাউয়েন এ অনেক ইহুদী বসতি তৈরী করে। তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিশ্বাস করে যে, নীল রঙ দেখে মানুষের মধ্যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কথা স্মরণ হয়।
এই রাস্তার সবচেয়ে বর্ণিল অংশগুলো দেখতে হলে পর্যটকদের আল হাসান ওনসার (Al Hassan Onsar) ও রু ওটিবি (Rue Outiwi) পর্যন্ত আসতে হবে। আর, রু বিন সৌয়াকিতে (Rue Bin Souaki) যে রাস্তা রয়েছে তা ঢেউয়ের মত উঁচু-নীচু ভাবে তৈরী করা হয়েছে।
জেরেজ দ্য লা ফ্রনটেরা, স্পেন (Jerez de la Frontera, Spain)

স্পেনের আন্দাুসিয়ায় অবস্থিত জেরেজ দ্য লা ফ্রনটেরা এলাকাটি বিখ্যাত তার শতাব্দী পুরনো ওয়াইনের জন্য। দেখতে পাবেন, এই ঐতিহাসিক পুরনো রাস্তাটির ১৫/২০ ফুট উপর দিয়ে জন্মানো আঙ্গুর গাছের পাতা দিয়ে এটা ঢেকে আছে।
বন, জার্মানী (Bonn, Germany)

জার্মানীর বন শহরের এই রাস্তাটির দু’ধারে রয়েছে চেরি গাছ। এক সারি ধরে চলে গেছে যত দূর চোখ যায়। বসন্তের দুই থেকে তিন সপ্তাহে এই চেরি গাছগুলোর নতুন পাতা এলে এই এলাকার মোহনীয় রূপ আরও বর্ণিল হয়ে উঠে।
আর, এ সময় পর্যটকেরা ছুটে আসে বনের সৌন্দর্য্য দেখতে। এই রঙ্গিন রূপ কাছে টাকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ফটোগ্রাফারদের। তারাও ব্যস্ত হয়ে উঠেন ক্যামেরা তা ধরে রাখতে।
লিজিয়াং, চীন (Lijiang, China)

চীনের এক হাজার বছরের পুরনো এটি একটি ঐতিহ্যবাহী শহর। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা পেয়েছি এটি। এ শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে খুব সুন্দর বানানো একটি খাল; আর তার পাশ দিয়ে বানানো হয়েছে এই দৃষ্টিনন্দন রাস্তা, কিয়ি স্ট্রিট (Qiyi street)। দুই ধারে জন্মেছে তৃনরাজি, পরিচর্যায় যেগুলো হয়েছে আরও সুন্দর।
এছাড়া, পর্যটকদের জন্য আরো দু’টি আকর্ষণ রয়েছে, চংগ্রোন এ্যালে (Chongron Alley) বা য়ুয়ি স্ট্রিট ওয়েসঝি এ্যালে (Wuyi Street Wenzhi Alley)। এই রাস্তাগুলো অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন করে বানানো হয়েছে।
বেলিমনি, দক্ষিণ আয়ারল্যান্ড (Ballymoney, Northern Ireland)

আঠারো শতকের দিকে আয়ারল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় বেলিমনি স্থানের ব্রেগাগ রাস্তাটির তৈরী হয়, আর, দু’পাশে লাইন ধরে বার্চ (birch) গাছ লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল। জায়গাটিকে Dark Hedge বলা হয়, বাংলান্তর করলে দাঁড়ায়, কৃষ্ণ কালো উঁচু ঝোপঝাড়। Game of Thrones এর ফ্যানরা এই রাস্তাটি হয়তো চিনতে পারছেন!
প্যারিস, ফ্রান্স (Paris, France)

প্যারিসের Champs-Élysées সম্ভবত: পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত ও চেনা রাস্তা। এর দু’ধারের গাছগুলো নিয়মিত পরিচর্যা করা হয়। লম্বার প্রায় ১.২ মাইল দীর্ঘ। প্লেস দ্য লা কনকর্ড (Place de la Concorde) থেকে শুরু হয়ে এই রাস্তাটি আর্চ ডি ট্রিয়াম্ফ (Arc d Triomphe) এ গিয়ে এটি শেষ হয়েছে।
অ্যামস্টারডাম, হলান্ড (Amsterdam, Holland)

অ্যামস্টারডাম শহরের ভিতরে দিয়ে বয়ে যাওয়া নিটল, নিস্তদ্ধ পানির ক্যানালের মধ্য দিয়ে নৌকায় করে ভ্রমণের জন্য সারা বছর টুরিস্টরা আসেন এখানে। এই ক্যানালগুলো এখানে রয়েছে যুগ যুগ ধরে। খাল পার্শ্ব দিয়ে রাস্তায় স্থানীয় ও টুরিস্টদের সারি সারি সাইকেল রয়েছে। আর, ক্যানালগুলোতে রয়েছে অনেক নৌকা। নৌকাগুলো মূলত টুরিস্টদের সেবা দেয়ার জন্যই রাখা হয়েছে।
কিন্তু, ডাচ রাজধানীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য আপনার চোখে পড়বে ব্রাউয়ারসগ্রাট (Brouwersgracht) নামক স্থানে, যেটা যদি কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন থেকে অর্ধ মাইল দূরে।
সান ফ্রান্সিসকো, ক্যালিফোরনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র (San Francisco, California, U.S.A.)

সান ফ্রান্সিসকোর আলামো স্কোয়ারের স্টিনার স্ট্রিটটি একটি ঐতিহাসিক স্থান হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে Mrs. Doubtfire (1993) মুভি ও Full House (1987-1995) টিভি সিরিয়াল থেকে। এই রাস্তার দু’ধারে রয়েছে সারি সারি একই চেহারার বড়-বড় বাড়ি।
আর, এই রাস্তার সৌন্দর্য্য দেখতে পর্যটকদের ভিড় লেগেই আছে। এখানকার ভিক্টোরিয়া ও অ্যাডওয়ার্ড ধাঁচের বাড়িগুলোকে দৃষ্টির মনোরঞ্জনের জন্য বিভিন্ন প্যাস্টেল রঙে রঙ করা হয়েছে।
অ্যাগুয়েডা, পর্তুগাল (Águeda, Portugal)

আকাশ জুড়ে শুধু রঙ-বেরঙের ছাতা। আর, ছাতার মধ্যে দিয়ে ক্ষীণ ধারায় নেমে আসছে সূর্যের কিরণ। পৃথিবীর কোথাও যদি এমনটা দেখেন তবে আপনাকে অভিনন্দন। আপনি পৌঁছে গেছেন পর্তুগালের অ্যাগুয়েডা শহরে।
এখানেই ২০১১ সালে শুরু করা হয় ‘ছাতার আকাশ প্রজেক্ট (Umbrella Sky Project)’, যা শুরু হয়েছিল পর্তুগিজ শহর অ্যাগিতাগুয়েডার (Ágitagueda) বার্ষিক আর্ট ফেসটিভ্যালে।
গ্রীষ্মে যখন তাপমাত্রা বেড়ে যায়, অ্যাগুয়েড ‘র সরু রাস্তাগুলো সেজে উঠে এমন রঙ্গিন খোলা ছাতা দিয়ে। আর, এই রাস্তায় ছাতার নীচে পথচারীরা ভেসে যান রঙ্গীন আলোয়।