একে কাঠফাটা গরম, তার উপরে আর্দ্রতার কারণে জনজীবন অতিষ্ট। গরমে নাভিশ্বাস উঠছে সবার। রাস্তায় বেরুলেই হাঁসফাঁস অবস্থা। তখন ঠাণ্ডা হিমেল হাওয়া এনে দিবে প্রশান্তি। মনে হত, আহা! যেখানেই যাই না কেন, সেখানেই পিছন পিছন যেত যদি একটা এয়ার কুলার৷ চলে এলো হেলমেট কুলার!
এবার কিছুটা হলেও স্বপ্ন সত্যি হতে যাচ্ছে ৷ মূলত বাইক আরোহীদের কথা ভেবেই এই বিশেষ এয়ার কুলারটি বানানো হয়েছে। গরমে রাস্তায় বাইক নিয়ে বেরুলে, মাথায় পরে নিন কুলার লাগানো এই হেলমেটটি; আর অন করে দিন কুলারের সুইচ। বাইরে তাপ যতই থাকুক, মাথা থাকবে ঠান্ডা!

সত্যি করে বাজারে এল ব্যাটারি চালিত হেলমেট কুলার! বিশ্বাস হচ্ছে না! এমনই সুবহ (পোর্টেবল) এয়ার কুলার প্রাথমিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে। মূলত বাইক আরোহীদের কথা ভেবেই এই বিশেষ এয়ার কুলারটি বানানো হয়েছে।
‘blusnap’ নামের ওয়াটার বেসেড এই হেলমেট কুলার তৈরি করেছেন AptEner Technologies-এর সিইও সুন্দরারাজন কৃষ্ণাণ। বাইরের তাপমাত্রার থেকে অন্তত ৬-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমাতে পারবে এই ‘ব্লুস্ন্যাপ’ ৷ ডাস্ট-ফ্রি এবং ডি-ফগিং ফিচার টেকনোলজিতে তৈরি হয়েছে এই কুলার-হেলমেট ৷
‘ব্লুস্ন্যাপ’ এমনিতে বেশ হালকা ৷ তাই পরে থাকতে অসুবিধা হয় না ৷ তাছাড়া রিপ্লেসেবল ফিল্টার রয়েছে এতে ৷ সাধারণ কলের জলেই এটা পরিষ্কার করা যায় ৷ এই কুলার পরিবেশ বান্ধবও বটে ৷
একবার পুরো চার্জ দিলে ১০ ঘণ্টা টানা ব্যবহার করা যাবে এটি ৷
সুন্দরারাজন চান এই কুলারকে আরও উন্নত করেতে ৷ এই কুলারটিকে প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত করতে চান তিনি। তাই আম জনতার হাতে ‘ব্লুস্ন্যাপ’ পৌঁছাতে আরও বেশ খানিকটা সময় লাগবে।
পরের ধাপে এই কুলার-হেলমেটে থাকবে ব্লুটুথ, নেভিগেশন সিস্টেমও ৷