বর্তমান দুনিয়ায় অনলাইন রিটেইল বা ই-কমার্সে বড় দুই কাণ্ডারী অ্যামাজন ও আলিবাবা। অ্যামাজন আমেরিকা ভিত্তিক, যার মালিক বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী জেফ বেজোস। আর আলিবাবা চীন ভিত্তিক, যার মালিক বিশ্বের এগারোতম সেরা ধনী জ্যাক মা।
বর্তমানে দুজনকেই নানামুখী চাপ সামলাতে হচ্ছে। ৩০ বছর আগে অ্যামাজনের গোড়াপত্তন করা ৫৭ বছর বয়সী বেজোস সম্প্রতি আকস্মিকভাবে প্রধান নির্বাহীর (সিইও) পদ ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন। এ পদ ছেড়ে দিয়ে তিনি অন্যান্য উদ্যোগে পুরো দমে সময় দিতে চান, পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবেও থাকবেন।
ওদিনে চীনের রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর বিধিনিষেধ ও আইনী জটিলতার মুখে দিন পার করছেন আলিবাবার জ্যাক মা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান দুটির ভবিষ্যত কী এবং সামনে তারা পরিকল্পনায় কী কী পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে, এ নিয়ে নানা কথা-পর্যালোচনা আসছে।
চাপের মধ্যেও বসে নেই জ্যাক মা। তিনি ‘সুপারস্টার’ অবস্থান ধরে রেখে আরো সুউচ্চতায় উঠতে চান। বিশ্লেষকের ভাষায়, তিনি তার প্রতিষ্ঠানকে (যশ-খ্যাতি ও প্রভাবের বিচারে বিশ্বের কাছে) চীনের চেয়েও ওপরে ওঠাতে চান!
ক্লাউড ব্যবসা ১১ বছর আগে শুরু করলেও প্রথম বারের মতো বড় লাভের মুখ দেখলো আলিবাবা, যা গত বছরের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি। এটা নিঃসন্দেহে জ্যাকের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করবে।
এদিকে, অ্যামাজনের ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসাও খুব ভালো করছে। ২০২০ সালে তাদের মোট আয়ের ৬০ শতাংশই এসেছে আমাজন ওয়েব সার্ভিস (এডব্লিওএস) থেকে।
করোনার উত্তাল পরিস্থিতিতে উভয় প্রতিষ্ঠানই ভালো আয় রোজগার করেছে। তবে একদিকে জ্যাক মার নিরলস চেষ্টা আর আরেক দিকে সক্রিয় দায়িত্ব থেকে জেফ বেজোসের বিদায় নেয়ার পর প্রতিষ্ঠান দুটির ভবিষ্যত কী হবে, এটাই দেখার বিষয়।