মানুষের আবিষ্কারের নেশা কখনও পিছু ছাড়ে না। মহাকাশের এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্তে চোখ রাখতে রাখতে একের পর এক অসাধারণ তথ্য উঠে আসে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের হাতে।
এবার আবারও মিলেছে এক গ্রহের সন্ধান। সেই গ্রহ নাকি অবিকল পৃথিবীর মতো। তবে রয়েছে বেশকিছু তফাৎ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই আবিষ্কার নাকি ওয়ান ইন আ মিলিয়ন অর্থাৎ লক্ষ লক্ষ আবিষ্কারের মধ্যে এটিকে অন্যতম সেরা আবিষ্কার বলে চিহ্নিত করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা এই গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, আর সেই আবিষ্কার বিশ্বের অন্যান্য মহাকাশ গবেষকদের কাছে এক নতুন দিক খুলে দিয়েছে।
ওই গবেষণাপত্রের মুখ্য গবেষক নিউজিল্যান্ডের অ্যান্তনিও হেরেরা মার্টিন বলেন, এই আবিষ্কার সত্যিই বিরল। দুটি কারণে এই আবিষ্কার বিরল। একটি হল যেভাবে এই আবিষ্কার হয়েছে এবং অন্যটি এই গ্রহের আকার, যা পৃথিবীর তুলনায় তিন থেকে চার গুণ বড়।
দ্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নাল নামে এক পত্রিকায় গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণায় যৌথভাবে কাজ করেছে কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ড।
গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পৃথিবীর মতো এই গ্রহের জন্ম নক্ষত্র থেকে নয়। আরও জানা গেছে, কক্ষপথে ঘুরতে এই গ্রহের সময় লাগে ৬১৭ দিন অর্থাৎ পৃথিবীর যে সময় লাগে তার প্রায় দ্বিগুণ।
নতুন গ্রহ আবিষ্কারের সাথে জড়িত সিনিয়র গবেষণা স্পেশালিস্ট Kacper Wierzchos বলেছেন,
“because it is pulled between the gravity of the moon and the gravity of Earth. Its distance to Earth varies between the equivalent of 0.2 and 4.5 Earth-moon distances (The average distance to the moon is roughly 239,000 miles, or 384,000 kilometers.) When Wierzchos last observed the minimoon, on Wednesday (Feb. 26), it was roughly 2.5 lunar distances away, he said.
Because the object’s distance to Earth varies, so does its orbital period, or the time it takes the minimoon to circle Earth. Wierzchos said the object’s orbital period is difficult to measure precisely, but it seems to be about a month.

মহাকাশে মাত্র কয়েকটি গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে যেগুলো আকারে অথবা কক্ষপথে অনেকটা পৃথিবীর মতো। এই গ্রহ সেগুলোর মধ্যে একটি।
আর এই আবিষ্কার নাকি খুবই বিরল। নতুন এই গ্রহ যদি, অন্য কোনওভাবে কক্ষপথে ঘুরতে অথবা আকারে আরেকটু ছোট হত তাহলেই নাকি এটিকে কোনদিনও দেখতে পেতেন না বিজ্ঞানীরা।
২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়ার পর তবেই এই গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে।
NASA এর নতুন আবিষ্কার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত পড়তে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্টের মধ্যে উৎসাহীদের জন্য কিছু খোরাক রয়েছে।