ইবাদাত ও কুরআন তেলাওয়াতের পূর্বে পবিত্রতা অর্জনের জন্য ওযু (Wudu) করা আবশ্যক বা ফরয। পবিত্রতায় বৃদ্ধি হয় মনোযোগ, দূর হয় আলস্য, তন্দ্রা ও নিদ্রা, স্ফূর্তির সাথে ইবাদতে মন বসে অধিক। সুতরাং, ইবাদতের বিশুদ্ধতার জন্য প্রত্যেক মুসলিমদের ওযুর নিয়মকানুন জানা অত্যাবশ্যক।
ওযুর ফরয ৪টি
- কুলি করা, নাকে পানি দেয়া ও নাক ঝাড়াসহ সমস্ত মুখমন্ডল ভালোভাবে ধৌত করা।
- কনুইসহ দুইহাত ধৌত করা।
- ভেজা হাতে কানসহ মাথা মাসাহ করা।
- টাখনুসহ দুই পা ধৌত করা।
ওযুর সময় মনে রাখতে হবে
ওযু করার সময় আরও মনে রাখতে হবে
- ওযুর এই ক্রমধারা বজায় রাখা। অর্থাৎ প্রথমে মুখমণ্ডল ধৌত করবে, এরপর হাতদ্বয় ধৌত করবে, এরপর মাথা মাসেহ করবে, এরপর পা দুইটি ধৌত করবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ক্রমধারা বজায় রেখে ওযু করেছেন।
- পরম্পরা রক্ষা করা। অর্থাৎ উল্লেখিত অঙ্গগুলো ধৌত করার ক্ষেত্রে পরম্পরা রক্ষা করা; যাতে করে একটি অঙ্গ ধোয়ার পর অপরটি ধোয়ার মাঝখানে স্বাভাবিকের চেয়ে দীর্ঘ সময়ের বিরতি না পড়ে। বরং এক অঙ্গের পরপর অপর অঙ্গ ধারাবাহিকভাবে ধৌত করা।
পুরুষ ও মহিলার ওযু করার পদ্ধতিতে কোন পার্থক্য নেই।
ওযু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
১. প্রথমে পবিত্রতা অর্জনের জন্য অন্তরে নিয়ত করে নিতে হবে। এর জন্য কোনো দুয়া পড়তে হবে না, বা, মুখে কোনো কিছু বলতে হবেনা। নিয়ত অর্থ হচ্ছে কোন কাজ করতে ইচ্ছা করা বা সংকল্প করা। “আমি পবিত্রতা অর্জন করার জন্য ওযু করছি” – অন্তরে শুধুমাত্র এই ধারণা বা ইচ্ছা থাকলেই নিয়ত করা হয়ে যাবে। প্রত্যেক কাজের শুরুতে নিয়ত করা “ফরয”। (সহীহ বুখারীঃ ১)।
নিয়ত করার জন্য নাওয়াইতু… এইরকম মুখে উচ্চারণ করে কোনো দুয়া পড়া বিদয়াত, সুতরাং সেটা করা যাবেনা।
২. অতঃপর “বিসমিল্লাহ” বলে ওযু করা শুরু করতে হবে। (আবু দাউদঃ ১০১, তিরমিযীঃ ২৫)।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ওযু শুরু করার পূর্বে বিসমিল্লাহ বলেনা তার ওযু হয়না। (তিরমিযীঃ ২৫, ইবনে মাজাহঃ ৩৯৯.। হাদীসটি হাসান।
বিভিন্ন হাদীসে বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করতে জোর দেয়া হয়েছে। এইজন্য কিছু আলেম ওযুর শুরুতে “বিসমিল্লাহ” বলা ওয়াজিব মনে করেন। আজকাল বেশির ভাগ মানুষ বাথরুমে ওযু করে যেখানে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা মাকরুহ। যদিও বাথরুমে আল্লাহর নাম নেওয়া বা যিকির করা মাকরুহ, কিন্তু যেহেতু হাদীসে বিসমিল্লাহ বলতে জোর দেয়া হয়েছে – সে জন্য বাথরুমে ওযু করলেও বিসমিল্লাহ বলেই ওযু শুরু করতে হবে।
৩. ডান হাতে পানি নিয়ে দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করতে হবে। এসময় হাতের আংগুলগুলো খিলাল করতে হবে। (আবু দাউদ, মিশকাতঃ ৪০১, নাসায়ী মিশকাতঃ ৪০৫)। এসময় হাতে আংটি থাকলে রাসুলুলাহ (সাঃ) সেটা নাড়িয়ে ধৌত করতেন। (ফিকহুস সুন্নাহঃ ১/৬১)। উল্লেখ্য, হাত কব্জি পর্যন্ত না ধোয়া পর্যন্ত ওযুর পানিতে হাত দেয়া যাবেনা। কারণ, ঘুমের সময় তার হাত কোথায় ছিলো কেউ জানেনা। অথবা, হাতে কোনো নাপাকী থাকলে ওযুর পানিও নাপাক হয়ে যাবে। এইজন্য, কব্জি পর্যন্ত হাত না ধোয়া পর্যন্ত ওযুর পানিতে হাত দেয়া নিষিদ্ধ।
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ নিদ্রা থেকে জাগ্রত হলে সে যেন তার হাত তিনবার না ধোয়া পর্যন্ত পানিতে না ঢোকায়। কেননা তোমাদের কারো জানা নেই যে, তার হাত রাতে কোথায় পৌঁছেছিল। (নাসাঈ)
৪. ডান হাতে এক আজলা পরিমান পানি নিয়ে অর্ধেক পানি দিয়ে কুলি করবে, আর বাকি অর্ধেক পানি নাকে দিয়ে নাক পরিষ্কার করবে ও বাম হাতে নাক ঝাড়বে। এসময় ভালো করে কুলি করে মুখের সব অংশে এবং নাকের উপরের অংশ পর্যন্ত পানি পৌঁছাতে হবে। অধিকাংশ মানুষ আগে কুলি করে পরে নাকে পানি দেয় – এটা ঠিক না।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ডান হাতে পানি নিয়ে অর্ধেক পানি দিয়ে কুলি করতেন বাকি অর্ধেক পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করতেন, অর্থাৎ কুলি করা ও নাক ধোয়া একই সাথে করতেন। (আবু দাউদঃ ২৩৬৬, তিরমিযীঃ ৭৮৮।

৫. কপালের গোড়া থেকে দুই কানের লতি পর্যন্ত ও থুতনীর নিচ পর্যন্ত সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করবে। বুখারী ও মুসলিম।পুরুষদের মধ্যে যাদের দাড়ি ঘন তাদের ভেজা হাতে দাড়ি খিলাল করলেই হবে। আর যাদের দাড়ি হালকা বা মুখের সাদা চামড়া দেখা গেলে পানি পৌছানো ওয়াজিব। আর, নারী বা যদের দাড়ি নেই তারা এক অঞ্জলি পানি থুতনীর নিচে দিবে, সেটাও মুখের অন্তর্ভুক্ত, তবে গলা ধৌত করবে না।

৬. প্রথমে ডান হাত ও পরে বাম হাত কনুইসহ ধৌত করবে। হাতের আঙ্গুলের অগ্রভাগ থেকে অন্তত কনুই পর্যন্ত ধোয়া ওয়াজিব, তবে, সতর্কতাবশত একটু বেশি অংশ ধৌত করা ভালো।

৭. মাথা মাসাহ করা মাথা মাসাহ করা সঠিক নিয়মঃ ইমানের পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো “সালাত” বা নামায। অথচ, আমাদের ব্যক্তিগত উদাসীনতা, স্বল্পশিক্ষিত হুজুর আর “নূরানী নামায শিক্ষা” নামক বইয়ের ভুল শিক্ষার কারণে সালাতে আমাদের মাঝে কত ভুল বিদ্যমান।
মাথা মাসাহ করা নিয়ে আমাদের মাঝে যে ভুল গুলো প্রচলিত সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।
প্রথম কথা হলো, মাথা মাসাহ করতে হবে একবার, তিনবার না। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ওযুর অংগসমূহ কখনো একবার, কখনো দুইবার আবার কখনও তিনবারও ধৌত করতেন। কিন্তু, মাথা মাসাহ করতেন একবার। (দেখুন মিশকাত, হাঃ ৩৯৩-৩৯৪)
দ্বিতীয়ত, মাথা মাসাহ করার সময় ঘাড় মাসাহ করা বেদাত। ইমাম আন-নববী (রহঃ) বলেন, “এ ব্যপারে হাদীস জাল ও এটা করা সুন্নত নয় বেদাত। (নায়লুল আওতার ১/১৬৩ পৃষ্ঠা, মাজমু ফাতওয়া ১/৫৬, যাদুল মায়াদ ১/১৮৭)।
রাসুল (সাঃ) কখনোই ঘাড় মাসাহ করতেন না, তাই ঘাড় মাসাহ করা রাসুল (সাঃ) তরীকার বিরোধী যা নিঃসন্দেহে পরিত্যাজ্য।
তৃতীয় ভুলঃ নূরানী নামায শিক্ষা বা মকসুদুল মুমিনীন এই সমস্ত বইয়ে একটা কথা লেখা থাকে, মাথার চার ভাগের এক ভাগ বা তিন ভাগের এক ভাগ মাসাহ করা ফরয। এই কথার কোনো ভিত্তি নেই, বরং রাসুল (সাঃ) সমস্ত মাথাই মাসাহ করতেন। সুতরাং সমস্ত মাথা মাসাহ করাই ফরয।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যেভাবে মাথা মাসাহ করতেনঃ
তিনি (সাঃ) দুই হাতের ভেজা আংগুল দিয়ে মাথার সামনে হতে পেছনে ও পুনরায় পেছন থেকে সামনে বুলিয়ে পুরো মাথা একবার মাসাহ করতেন। একই সাথে ভেজা শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে কানের ভেতর অংশ এবং বুড়ো আংগুল দিয়ে কানের বাইরের অংশ মাসাহ করতেন। মাথায় পাগড়ি/স্কার্ফ থাকলে পাগড়ির উপরে ভেজা হাত দিয়ে সমস্ত মাথা মাসাহ করে নিতে হবে।

৮. প্রথমে ডান পা ও পরে বাম পা টাখনুসহ ভালোভাবে ধৌত করতে হবে। বাম হাতের আংগুলগুলো দিয়ে পায়ের আঙ্গুলগুলো খিলাল করতে হবে। এসময় খেয়াল রাখতে হবে, পুরো পা যেনো ভালোভাবে ধৌত করা হয়, অনেকের পায়ের গিটের নিচে পুরো অংশ পানি দিয়ে ধৌত করা হয়না। এরকম করলে জাহান্নামে যেতে হবে, কারণ এই কারণে ওযু হয়না।
শীতকালে বা সফরে ওযু থাকা অবস্থায় মোজা পড়লে মোজা খুলে পা ধৌত করতে হবেনা, মোজার উপরে একবার মাসাহ করলেই হবে। আর চামড়া বা কাপড় যেকোনো মোজাতেই মাসাহ করা যাবে (তিরমিযী)।
মাসাহ করার নিয়মঃ
দুই হাতে ভেজা আঙ্গুল পায়ের পাতা হতে টাখনু পর্যন্ত টেনে এনে একবার মাসাহ করতে হবে। (মুসলিম, মিশকাত ৫১৮)। ডান হাত দিয়ে ডান পা ও বাম হাত দিয়ে বাম পা মাসাহ করতে হবে।
ওযুর পরে সুন্নত হচ্ছেঃ
১. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ওযু শেষে একটু পানি নিয়ে লজ্জাস্থান বরাবর ও আশেপাশের কাপড়ে পানি ছিটিয়ে দিতেন।আবু দাউদ, নাসায়ী, মিশকাত ৩৬১, সহীহঃ আলবানী।
কারণ, শয়তান মানুষকে ওয়াসওয়াসা দেয় যে, তোমার পেশাবের ফোঁটা বের হয়েছে। এই কাজ করলে এই ওয়াসওয়াসা দূর হবে।
২. ওযু শেষ করে কালিমা শাহাদাত একবার পড়তে হবে,
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ.
উচ্চারণঃ আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা-লাহু ওয়াআশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন মাবূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর বান্দা ও রাসূল।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি পূর্ণভাবে ওযু করবে এবং কালিমা শাহাদাত পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হবে। সে যেটা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে”।
[মুসলিম ১/২০৯, মিশকাতঃ ২৮৯]
ওযুর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ওযুর জায়গা নখ পরিমান শুকনো থাকলে ওযু হবেনা। (সহীহ তিরমিযীঃ ৪১)। এইজন্য আস্তে ধীরে মনোযোগের সহিত সুন্দর করে ওযু করতে হবে। তাড়াহুড়া করে অন্য চিন্তা মাথায় নিয়ে ওযু করা অনুচিত, কারণ, এতে যদি ওযু না হয় তাহলে নামাযই কবুল হবেনা! তাই আমাদের উচিত ওযু করার সময় খেয়াল রাখা।
১. ওযুর অংগগুলো একবার, দুই বার বা তিনবার ধৌত করতে হবে। একবার করা ফরয, সর্বোচ্চ তিনবার করা উত্তম। তবে মাথা মাসাহ বা পায়ে মোজা থাকলে পা মাসাহ একবারই করতে হবে। তিনবারের বেশি করা বাড়াবাড়ি – হাদীসে এই কাজের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত ৩৯৫- ৩৯৭।)
২. পানি অপচয় করা যাবেনা। টেপ ছেড়ে ওযু করা পানি অপচয়ের মধ্যে পড়বে। উচিত হচ্ছে মগে বা কোনো পাত্রে পানি নিয়ে ওযু করা। আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ওযু করতেন এক মুদ বা ৬২৫ গ্রাম পানি দিয়ে (প্রায় পৌনে এক লিটার) (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত ৪৩৯।)
৩. ওযু শেষে ভেজা অংগ গুলো তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলা জায়েজ রয়েছে। (ইবনে মাজাহ ৪৬৫, ৪৬৮)।
৪. এক ওযু দিয়ে পরের ওয়াক্তের নামায পড়া জায়েজ – তবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সবসময় নতুন করে ওযু করে নিতেন। মক্কা বিজয়ের দিন তিনি একবার এক ওযু দিয়ে দুই ওয়াক্তের নামায পড়েছিলেন।
৫. কাপড়ের মোজার উপরে মাসাহ করা জায়েজ। তিরমিযীতে এর পক্ষে সহীহ হাদীস রয়েছে। যারা বলে শুধু চামড়ার মোজার উপরে মাসাহ করা যাবে তারা ভুল বলেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরামগণ (রাঃ) খুফ (চামড়ার মোজা) ও জাওরাবের (সুতী বা পশমী মোটা মোজার) উপরে মাসাহ করতেন। (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, মিশকাত ৫৩-৫৪)। মুকীম বা গৃহে অবস্থান করলে একদিন একরাত (২৪ঘন্টা) সফরে তিনিদিন ও তিনরাতে পর্যন্ত একবার মোজা পড়ে মাসাহ করে যাবে, এর পরে ওযু করলে মোজা খুলে ধৌত করতে হবে। এমন জুতা যা টাখনু ঢাকে সেটা যদি পাক থাকে আর ওযু করা অবস্থায় পড়া হয়, তাহলে তার উপরেও মাসাহ করা জায়েজ। (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত ৫২৩)। জুতার নিচে নাপাকী থাকলে তা মাটিতে ভালোভাবে ঘষে নিলে পাক হয়ে যাবে এবং ঐ জুতার উপরে মাসাহ করা চলবে। (আবু দাউদ, মিশকাত ৫০৩)।
৬. শরীরে কোনো জখম বা ব্যান্ডেজ থাকলে, ঐ অংশটুকুর উপরে ভেজা হাতে একবার মাসাহ করলেই হবে, ধৌত করতে হবেনা। (সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ ১/১৬১)।
৭. ওযুর শুরুতে প্রয়োজনীয় কথা বলতে ও সালাম দিতে বা নিতে হাদীসে কোনো নিষেধ নেই।
৮. প্রত্যেক অংগ ধোঁয়ার সময় আলাদা আলাদ দুয়া – এইগুলো বেদাত। এইগুলো না রাসুলুল্লাহ (সাঃ) পড়েছেন, না সাহাবার করেছেন না চার ইমাম থেকে কোনো বক্তব্য আছে। (যাদুল মায়াদ ১/৮৮)।
৯. শরীরের যেকোনো স্থান থেকে কম হোক আর বেশি হোক রক্ত বের হলে ওযু নষ্ট হবেনা। (বুখারী, ২৯ পৃষ্ঠা)।
১০. কাপড় চেঞ্জ করলে বা হাটুর উপরে কাপড় উঠে গেলে ওযু ভেঙ্গে যায়না।
১১. বমি হলে, নামাযের ভেতরে বা বাইরে উচ্চস্বরে হাসলে, মৃত ব্যক্তিকে গোসল দিলে বা বহন করলে ওযু ভেঙ্গে যায়না।